সমাজবিজ্ঞান বিভাগ সম্পর্কে
নারী শিক্ষার সুপ্রাচীন বিদ্যাপীঠ ইডেন মহিলা কলেজ আজও দাঁড়িয়ে আছে তার ঐতিহ্যমন্ডিত গৌরব নিয়ে। কলেজের গৌরবের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে এই সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।এটি কলেজের অন্যতম একটি বিভাগ, যেখানে ভর্তি হতে ছাত্রীদের মধ্যে তীব্র ইচ্ছা এবং প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। ১৮৭৩ সালে গার্লস স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেও ১৯২৬ সালে কলেজে পূর্ণতা পায় এই প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রীদের নিয়ে শুরু হয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান এবং মাস্টার্স শ্রেণীর অগ্রযাত্রা। যে যাত্রা শতশত মেধাবী ছাত্রীর পদচারণায় ধন্য হচ্ছে। বর্তমানে বিভাগের সার্বিক প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে পেরে তাই আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। বিভিন্ন সময়ে বিভাগ যেসকল সম্মানিত শিক্ষক গণের নিকট তাঁদের নিঃস্বার্থ এবং নিবেদিত সেবা পেয়েছে,বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁদের সকলের প্রতি আমি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি আমি বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল সম্মানীয় অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ মহোদয়কে বিশেষ করে বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য মহোদয় এবং উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফেরদৌসী বেগম মহোদয়কে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই তাঁদের মূল্যবান পরামর্শ, দিক-নির্দেশনা ও শুভাশীষেরজন্য।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ মাত্র ৫০ জন ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হয় ২৮০ জন ছাত্রী এবং মাস্টার্স শেষ বর্ষে ভর্তি হয় ২০০ জন ছাত্রী। ফলে বিভাগটি প্রায় ১৪ শতাধিক ছাত্রী নিয়ে সর্বক্ষণ মুধরিত থাকে।
কলেজের একটি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে আকর্ষণীয় আদিপত্য কাঠামোর সুদর্শন চতুর্থ তলা সম্পন্ন একটি অট্রালিকার তৃতীয় তলায় বিভাগটি আজও ফুলের সমারোহের মাঝে প্রস্ফুটিত একটি ফুলের মতো। বিভাগটি তাই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিভাগে শিক্ষক-ছাত্রীদের অধ্যয়নের জন্য একটি সুপ্রশস্ত সেমিনার রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সেলফে শোভা পেয়েছে পাঠ্যসূচি মোতাবেক বিভিন্ন বর্ষের বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় রচিত একাডেমিক পুস্তক, গবেষণা ধর্মী প্রতিবেদন, সাময়িকী। পাশাপাশি রয়েছে মাতৃভাষা এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর সংগৃহীত গ্রন্থের একটি বিশেষায়িত আলমারী। ছাত্রীরা তাদের সেমিনার কার্ডের মাধ্যমে সেমিনারের এই সকল বই উত্তোলন করতে বা সেমিনারে বসে পড়তে পারে। ছাত্রীদের নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে ব্যাক্তিগত ভাবে শিক্ষকগণের সাথে পাঠ্য বিষয় নিয়ে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে। টিউটোরিয়াল শিক্ষক প্রতিটি বর্ষের ছাত্রীদেরকে নিয়ে নিবিড়ভাবে পাঠ্যসূচি মোতাবেক শিক্ষাদান করে থাকেন। ফলে জ্ঞানচর্চার একটি সার্বিক পরিবেশে ছাত্রীরা অবগাহন করতে পারে।
ইডেন মহিলা কলেজ সার্ধ শতবর্ষে পদার্পন উপলক্ষে বিশেষ সাময়িকী প্রকাশ করতে যাচ্ছে জেনে আমি খুব আনন্দিত। ছাত্রীদেরকে কলেজের গৌরবে অংশীদার করতে বা ছাত্রীদের অবদানে কলেজের গৌরবকে সমৃদ্ধশালী করতে এই সাময়িকীরভ‚মিকাঅনন্য। সাময়িকীর মাধ্যমে আমি কলেজের সকল প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রী, তাদের অভিভাবক, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ কে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই।